বেনাপোল চেকপোস্ট নো-ম্যান্সল্যান্ডে রফতানি মূখী মাছ বোঝায় ট্রাক নিয়ে কাস্টমস্-বিজিবি মুখোমুখি
ভারতে মাছ রফতানি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে কাষ্টমস এবং বিজিবি সদস্যরা। বন্দর এলাকার মধ্যে রফতানি পন্যবাহী ট্রাক তল্লাশি নিয়ে প্রশ্নে বাকযুদ্ধে নামে দু’পক্ষ। এসময় তিন ঘন্টা ভারতে মাছ রফতানি বন্ধ থাকে। অবশেষে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিজিবি ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ট্রাক থেকে মাছের কার্টুন নামিয়ে পরীক্ষণ করা হয়। মাছের গাড়ি দুটিতে বিভিন্ন জাতের পাবদা, টেংরা ও তেলাপিয়া মাছ দেখতে পায় বিজিবি ও কাস্টমস কর্মকর্তারা।
সোমবার (২৩ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭টার পর বেনাপোল বন্দরের আমদানি রফতানি গেডের পার্শ্বে কাস্টমস-বিজিবি উভয়ের সমন্বয়ে মাছের গাড়ি দুটিতে তল্লাশী করা হয়।
উল্লেখ্য: বাংলাদেশ থেকে ভারতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের সাদা বা দেশি মাছ রফতানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনা সাউদার্ন সি ফুড লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান সোমবার সন্ধ্যায় ভারতে রফতানির উদ্দ্যেশে ৩ টি পিকআপে সাড়ে ৭ টন বিভিন্ন জাতের পাবদা, টেংরা ও তেলাপিয়া মাছ নিয়ে বেনাপোলে আসে।
কাষ্টমস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ট্রাক নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে বিজিবি গাড়ির গতি রোধ করে দাঁড় করায়। তাদের সাফ জবাব ঘোষনার বাইরে ট্রাকে ইলিশ মাছ আছে। গাড়ি বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে নিতে হবে। এতে বাঁধ সাধে কাস্টমস।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চেকপোষ্টে ছুটে আসেন কাষ্টমসের যুগ্ম কমিশনার নুসরাত জাহান, ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, বেল্লাল হোসেন, অনুপম চাকমা শুল্ক গোয়েন্দার সহকারি পরিচালক মাসুদুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। উভয়পক্ষের বাকযুদ্ধের পর বিশেষ সমঝোতায় নো-ম্যান্সল্যান্ড এলাকায় চলতে থাকে বরফজাত কার্টুন খুলে তল্লাশির কাজ। তন্ন তন্ন করে দেখা হলেও মেলেনি কোন ইলিশ মাছ।
খুলনা বিজিবি’র সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন খন্দকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন রফতানিকৃত সাদা দেশি মাছের মধ্যে ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হচ্ছে। সে কারনে মাছের চালানটি পরীক্ষা করা হয়েছে।