শরণখোলায় রাতেরবেলায় চুপিচুপি সরকারী জমি দখল করে ঘর নির্মানঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজারের দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সরকারী জমি দখল করে ঘর তোলার অভিযোগ উঠেছে ।
মঙ্গলবার সকালে সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে,ধানসাগর ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের মনা তালুকদারের ছেলে মুনসুর তালুকদার ও একই গ্রামের মৃত মকবুল তালুকদারের ছেলে ওয়াহাব তালুকদার গত তিন মাস পূর্বে আমড়াগাছিয়া বাজারে মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনের কাঁচা বাজারের জায়গা দখল করে রাতের অন্ধকারে দুটি টিনের ঘর নির্মাণ করে ।
যা বাজারের পরিবেশ নষ্ট করছে এবং সবজি ব্যবসায়ীদের বসার স্থান দখল হয়ে যায়।
তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের অফিসের সামনে ঘর তোলায় মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াতসহ বাজারের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা এম আফজাল হোসাইন, মনিন্দ্রনাথ হালদার,শ্রী অজিৎ কির্তনী,শ্রী বঙ্কিম কুলু,মান্নান হাওলাদার,বাবু প্রেমানন্দ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন,রাতের আঁধারে মুনসুর ও ওয়াহাব নামে দুই ব্যবসায়ী বাজারের সরকারী জমি দখল করে দুটি ঘর তোলেন।
যার কারনে আমাদের চলাফেরা ও সামনের পরিবেশ সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে যায়।এখন আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এ ব্যাপারে জমি দখলদার মুনসুর তালুকদারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমরা চেয়ারম্যানের কথায় ওখানে ঘর তুলেছি।ওই জায়গা নাকি তার,তিনি যদি বলেন তাহলে আমরা ঘর সরিয়ে ফেলবো।
ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মইনুল হোসেন টিপু বলেন,মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস করার জন্য জায়গা দিয়েছি আমি এবং ওই জায়গাও আমার।তাছাড়া বাজার কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় বাজার বসানো যাবে কি না যাবে।আর ওরা যে দুটি ঘর তুলেছে সেখানে কিছু মালামাল রাখে প্রয়োজন হলে সরিয়ে ফেলবে।এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাতুনে জান্নাত বলেন,অন্যের জমি দখল করে কেউ ঘর তুলতে পারবেনা।এরকম যদি হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।