নিজের জন্য সময়?
অন্ধকার ঘুপচি এক গুহায় একাকী দুনিয়া থেকে আলাদা হয়ে থাকাকে কেহই বা কাহারোও মজার কাজ হবে বলে মনে করবেনা।ঘরে কিংবা ধর্মিয় উপসানালয়ে নির্জন সময় তা-ও কাটানো যায়। কিন্তুু লোকালয়,সমাজ পরিবারের বাইরে ছেরে কোথাও জনমানবশূন্য কোন জায়গা ভাবায় যায়না। কিন্তুু আমাদের নবী সাঃ তা অবলিলায় করেছেন।এক সময় বছরে পুরো এক মাস এক সাথে।এমন এক স্থানে যা মক্কার প্রান্ত থেকে তিন কিলোমিটার দূরে।যা হেরা গুহা বা আলোর পাহাড় নামে পরিচিত ছিল।সাগড়পৃষ্ট এর উচ্চতা ছিল ৬২০ মিটার।রাসুল সাঃ সেখানে একদম ভয় পাননি,নবিজীর একঘেয়ে লাগেনি। কারন নবিজী সাঃ এর গভীর ভাবনায় মগ্ন হওয়ার সু সামর্থ ছিল। আজকের যুগে এমন মানুষ পাওয়া দুর্লভ। সমস্ত দুনিয়া আজ ডিজিটাল নেট দুনিয়াতে মগ্ন।এখনকার দিনে একাকীত্ব মানে স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটারের চোখঁ ধাঁধাঁনো স্কিনে অপলক তাকিয়ে থাকা।কোনো কিছু চিন্তা ভাবনার উদ্দেশ্যে নির্জনে থাকা এর থেকে পুরো আলাদা।এ বিষয়ে কেউ আবার ভুল বুঝবেন না যে,আমি আপনাদের সমাজ ছেড়ে একঘড়ে হয়ে যেতে বলছি? আপনিও আপনার নিজের জন্য নির্জনে কাটানোর সময় বের করুন নিজের রব কে চিনার জন্য।কিছুটা সময় নিজের আহলিয়া,সন্তান,পিতামাতা,নিজের পরিবারের বাকি সদস্যেদের সাথে উদযাপন করুন। রাসুল (সাঃ) বেশ ভালোভাবেই সমাজ সংসার সামলেছেন।আজকের ডিজিটাল এই সময়ে স্মার্টফোন আমাদের কাজের সব মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে।কোথায় নাই সে,সড়ক দুর্ঘটনার কারন থেকে শুরু করে,মসজিদে বিকট সাউন্ডে রিংটোন হিসাবে, হাসপাতালে রোগীর সহ্যাপাশে সেবাকারীর হাতে স্মার্টফোন চলছে অবলিলায়,রেললাইনে পাবজি খেলায় ব্যস্ত তরুনের মৃত্যু, হেডফোনে গান শুনতে শুনতে রাস্তা পার হতে গিয়ে মৃত্যু এখন অহরহ। এক ছাদের নিচে সবাই,কিন্তু সবাই সবার স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত।রাসুল (সাঃ) আদর্শে অনুপ্রানিত হোন।কিভাবে রাসুল (সাঃ) একাকি নির্জনতা উপভোগ করেছিলেন।স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের অহেতুক ব্যাবহার থেকে বের হয়ে আসুন।এরপর নিজের জন্য প্রতিদিন মিনিমাম একঘন্টা সময় দিন।নিজের ভিতরটাকে জানুন,নিজেকে চিনুন,নিজের রবের কাছে আত্বসমর্পন করুন।