দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রী(৪০) কে গণধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ যুবককে আটক করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। নির্যাতিতা ঐ নারী নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার (২০ আগষ্ট) দিবাগত রাতে বিরামপুর উপজেলার ৪নং দিওড় ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ইউক্যালিপটার বাগানে এই ঘটনা ঘটে। বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২০ আগষ্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্বামীসহ স্থানীয় একটি অটোভ্যানযোগে নবাবগঞ্জ যাচ্ছিল ঐ নির্যাতিতা নারী। পথে বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ধর্ষকরা তাঁদের পথ আটকে অটোভ্যান চালককে মারপিট করে। এ সময় স্বামী আনিছুর রহমানকে কয়েকজন আটকে রেখে ঐ গৃহবধুর মুখ চেপে ধরে রেজাউল করিমের বাড়ির দক্ষিণ দিকে ওহেদ মেম্বারের ইউক্যালিপটার বাগানে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে রাত প্রায় এক টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন দেন ঐ নারী। ফোন পেয়ে বিরামপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্যাতিতা ঐ নারী ও তাঁর স্বামী আনিছুর সহ ভ্যান চালককে উদ্ধার করেন। রাতেই ঐ এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে এক আসামীকে আটক করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে অন্যান্যদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার কানিকাঠাল গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৩৫), বাঘার পাড়া গ্রামের মহরমের ছেলে আব্দুল লতিফ(৩৬), বেপারীটোলা গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে শুভমিয়া(২০), আকতার হোসেন এর ছেলে আবু রায়হান(৪০), মজিবর হোসেনের ছেলে ময়নুল ইসলাম(২০)।
এবিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সুমন কুমার মহন্ত জানান, নির্যাতিতা ঐ নারীর জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ে হয়েছে এবং পাঁচ আসামীকে আটক করা হয়েছে। আটক আসামীদের শনিবার (২১ আগষ্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যান্য আসামীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।