প্রতিতা হত্যাকান্ডই ঘৃনিত, কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের হত্যাকান্ডের জন্য তান্ডব চালানো এটা একটা স্বাধীন সভ্য জাতির জন্য খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া বিরল। একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ হাইকমান্ডের নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ সেই নেক্কারজনক হামলা বাঙালী জাতি কোনোদিনও ভুলবে না।
আজ সেই দুঃসহ স্মৃতি বিজরিত বিভীষিকাময় ২১শে আগস্ট । নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। ১৭ বছর আগে ২০০৪ সালের এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের বুকফাটা আর্তনাদ আর ছিন্ন বিন্ন শরীরনিয়ে কাতর ছোটাছুটিতে সেখানে তৈরি হয় এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। কে কাকে সাহায্য করবে, কার পাশে কে মানবিকতার হাত বাড়াবে? সবাই ছিল সেদিন অসহায়,বেচে থাকার আকুতি ছিল সবার চুখেমুখে,বিশেষ করে আইভি রহমানের ছিন্নভিন্ন দেহখানা এখনোও স্মৃতিতে অমলিন। এদিন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলপূর্ব সমাবেশে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে ঘাতকরা। এই ঘটনায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। যাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। কেউ কেউ আজও ফিরে পাননি স্বাভাবিক জীবন।এখনোও তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণার কারনে এখনোও তারা ঘুমাতে পারেন না ভালোবাবে। দুঃসহ যন্ত্রনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে।জননেত্রীকে বাচাঁতে নেতাকর্মীরা মানব প্রাচির তৈরি করে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মারার জন্য ২১শে আগস্টসহ মোট ১৯ বার হামলা করা হয়েছে।স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তাদের এই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।এই ধরনের ইতিহাসের জগন্যতম নেক্কারতম বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের মত কোন ঘটনার পুনোরাবৃত্তি হবেনা এটাই এ জাতীর প্রত্যাসা।