মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা থানা এলাকায় করোনাকালীন সময়ে অলস জীবন-যাপন করছে স্কুল -কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির কারনে ২০২০ সালের মার্চ মাসে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
সেই থেকেই লেখাপড়া বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীরা অলস সময় কাটাতে থাকে খেলা-ধুলা ও আড্ডা দিয়ে। শহরের শিক্ষার্থীরা, অনলাইন ও প্রাইভেট শিক্ষার মাধ্যমে লেখাপড়ার চর্চা কিছুটা হলেও চালিয়ে যেতে পারছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থী ক্ষেত্রে।
অনলাইনের ক্লাশ সমুহে তারা অংশ নিতে পারছেনা। দরিদ্র অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ছেলে মেয়েরকে লেখা- পড়ার চাপও দেয়া হচ্ছেনা। যে যার মতো ভবঘুরে জীবন যাপন করে। অনেক দরিদ্র অভিভাবক তাদের ছোট ছোট ছেলেদেরকে কাজে যুক্ত করে দিচ্ছে।
বিশেষ করে শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী,রায়েন্দা, খোন্তাকাটা ইউনিয়নের সহাস্রাধীক শিশু শিক্ষার্থী জীবনের ঝুকি নিয়ে বলেশ্বর নদে চিংড়ি মাছের পোনা ধরছে। এ সব শিশুদের যে কোন সময় সাপ- কুমির দ্বারা আক্রান্ত হয়ে জীবন সংশয় হতে পারে।
আবার অনেক মাধ্যমিক- উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ফেসবুকে গেম সহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্ম-কান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। দরিদ্র অভিভাবকরা স্কুল বন্ধ থাকার অজুহাতে তাদের কম বয়সী মেয়েদের বিবাহ দিয়ে দিচ্ছে। অভিবাবকরা বাল্যবিবাহের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।
অলস সময় কাটাতে গিয়ে অনেকেই অনৈতিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের চিন্তায় অনেকটা শঙ্কিত।
মোরেলগঞ্জ থানার গুণী শিক্ষাবীদ,সন্ন্যাসী এআর খাঁন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, ১৬নঃ খাউলিয়া ইউনিয়নের সাবেক বারবার নির্বাচিত স্বনামধন্য চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক বর্ষিয়ান আওয়ামিলীগ নেতা জনাব আব্দুল হাই খাঁন মোবইল ফোনে জানান,করোনার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার জন্য ছেলে- মেয়েরা বিপথগামী হয়ে পড়েছে। লেখা- পড়া সব ভুলতে বসেছে।
তিনি এই প্রতিবেককে আরো জানান যে, গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে না পারলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে তারা।
মোরেলগঞ্জ থানার সন্ন্যাসী এসপি রাশিদীয়া হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল আহসান জানান যে,
করোনা একটি বৈশ্বিক মহামারী রোগ। এটি অত্যান্ত ছোঁয়াচে প্রকৃতির। আমরা জানি শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। তবুও করার কিছু নেই। সরকার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে কোভিট-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলে আমরা সারাদেশের শিক্ষক সম্প্রদায় একসাথে নিরলস ভাবে শিক্ষার্থীদের পেছনে সময় ব্যায় করতে পারলে কিছুটা ক্ষতি পূরণ সম্ভব। তিনি এই প্রতিবেদককে আরো জানান যে, যদি করোনাত্তোর সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে স্বাভাবিক সময়ের ক্লাসের চেয়ে অতিরিক্ত সময় শিক্ষকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ক্লাস নেয় তবেই করোনা অতিমারির এই ধকল কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।