ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পরকিয়ার অভিযোগে ৩ সন্তানের জননীর সাথে কলেজ ছাত্রের বিয়ে দিয়েছে স্বামীসহ এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার আবাইপুর গ্রামে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,আবাইপুর গ্রামের ফরিদ এর স্ত্রী মিতা (৩৬) এর সাথে প্রতিবেশী রবিউল ইসলাম এর কলেজ পড়ুয়া ছেলে রবিন (২০) এর পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার গভীর রাতে রবিন মিতার সাথে অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্য ঘরে ঢুকলে তার স্বামী ফরিদ ও স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে কাজী ডেকে প্রথমে মিতাকে দিয়ে তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তখনই রবিনকে বিয়ে করতে বাধ্য করে ফরিদ ও সামাজিক মাত্ববর রবিউল। কিন্তু ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক ডিভোর্স এর ১০০ দিনপর বিবাহের বিধান থাকলেও সেটা মানা হয়নি। এবিষয়ে কাজী রবিউল ইসলাম জানান,পরিস্থিতি অনূকূলে না থাকায় তিনি ডিভোর্সের সাথে সাথে বিয়ে পড়াতে বাধ্য হয়েছে। চাপের মধ্যে তিনি এ বিয়ে দিয়েছেন যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
এদিকে রবিন এর বাবা রবিউল অভিযোগ করেন তার ছেলেকে ফোন করে ডেকে আটকে রেখে মারধর করে বিয়ে করতে বাধ্য করিয়েছে। সেই সাথে মেয়েটিকে দিয়ে জোরপূবক তার স্বামী ফরিদকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেছে। তিনি আরো বলেন তার ছেলের এখনো বিয়ের বয়স হয়নি।
এলাকাবাসী জানায়,গৃহবধূ মিতার ফরিদ এর সাথে বিয়ে হওয়ার আগে তার আরেকজনের সাথে বিয়ে হয়েছিল। সেখানে তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সেই স্বামীকে তালাক দিয়ে ফরিদ এর সাথে বিয়ে হয়। ফরিদ এর সংসারে এসে এখানেও একটি সন্তান রয়েছে। এই সন্তান ফেলে তিনি আবারো এই কলেজ পড়ুয়া ছেলেকে বিয়ে করলেন। আজ এই পযন্ত বিস্তারিত আরো তথ্য নিয়ে আসবো আপনাদের সামনে।