চাঁদপুরের মতলবউত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরীফুল হাসান অত্র উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নে পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ শেষে উপজেলায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যেই এক বৃদ্ধ ঠেলা চালক চাচার সাথে দেখা। উনি ফিরছিলেন বাড়িতে। তখন ঘড়িতে দুপুর ২ টা। শুনশান চারদিক। মাঝে মধ্যে দুয়েকটা গাড়ি যাচ্ছে। তিনি গাড়ি থেকে নামতেই চাচার চোখে মুখে ভয় দেখতে পেলেন। বললেন কই যান চাচা। বলে বাড়িত যাই। তখনো বলেই চলেছেন যে, আমার এই ঠেলা আছে.. আর কিছু নাই.. বাজারে গেছিলাম…। ইউ এনও বললেন ভয়ের কিছু নাই চাচা।
আগামীকাল ঈদের দিন। আজকেও আপনি কাজের আশায় বাজারে গিয়েছিলেন।
বৃদ্ধ ইউএনও কে চিনেন না.. আবার ইউএনও ও উনাকে চিনেন না…। বারণ করার আগেই সাথের আনসার সদস্য পরিচয় দিয়ে দিলেন…। বৃদ্ধ জীবনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে দেখেন নি… আজকে প্রথম দেখলেন..।
তাকে ইউএনও নিজ হাতে একটা মাস্ক পড়িয়ে দিলেন।
তারপর গাড়ি থেকে ১০ কেজি চালের একটা প্যাকেট তার হাতে তুলে দিলেন। অপ্রত্যাশিত এই ঘটনায় তার চোখ ছলছল হয়ে উঠলো.. গায়ে হাত বুলিয়ে দোয়া করতে থাকলো। ছলছল চোখে বার বার গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করতে লাগলেন..। দ্রুতই বিদায় নিলেন ইউএনও কারণ বৃদ্ধের চোখ ছলছল করার সাথে সাথে তারও চোখ ছলছল করছিল।