সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কর্তব্য অবহেলা, জনহয়রানি ও ঘুষ-দুর্নীতিসহ অভিযোগের শেষ নেই জনগণের। তবে এর ব্যতিক্রম কর্মোদ্যম, সৎ ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাও রয়েছে। যারা লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে নিজ প্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলেন জনবান্ধব ও বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল। এদের মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান অন্যতম। আজ ১৯ জুলাই এই উপজেলায় তার দায়িত্বকাল ৯৯ দিন পূর্ণ হয়েছে। তাঁর দায়িত্বশীলতায় ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। মতলব উত্তর উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং আরো সেবা পাওয়ার আশায় উপজেলার নিরীহ জনসাধারণ, সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
মহামারী করোনাকালীন চলতি বছরে গত ১২ এপ্রিল তিনি মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান। উদ্যোগ নেন দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করে মতলব উত্তর উপজেলাকে একটি আধুনিক উন্নত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার। তিনি শক্তহাতে টেনে ধরার চেষ্টা করছেন দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, বালুখেকো, খাস জমি, খাল দখলদারীদের। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করেছে।
নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনকল্যাণমুলক কাজ করে দক্ষ প্রশাসক হিসেবে উপজেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। করোনাকালীন সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তিনি আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহীনি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে, মাদকদদ্রুব্য, ভোক্তা অধিকার, মটরযান, মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘনের দায়ে কয়েক জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
সর্ব ক্ষেত্রেই রয়েছে এই জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদচারণা। এই করোণা মহামারীর মধ্যেই দাপ্তরিক কাজের বাইরে সকাল-বিকাল ছুটে বেড়ান মাঠ-ঘাট। কথা বলেন উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে। শোনেন তাদের দুঃখ-কষ্টের কথা। খোঁজখবর নেন সমাজের অবহেলিত গরিব-দুঃখী মানুষের। রাতের গভীরে নিজ হাতে ত্রাণ পৌছে দিচ্ছেন অনাহারীর ঘরে। পরিদর্শন করেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্প। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দরিদ্র ও কর্মহীনদের মাঝে নিজ হাতে নগত অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন ধাপে ধাপে। এটা বিরল উদাহরন।কৃষি সেক্টরে কৃষি জমি রক্ষা, কৃষকদের পানি সংকট, সার সংকট,কৃষকদের নিকট হতে ধান ক্রয়ের জটিলতা, মোকাবেলা করতে নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। কৃষির সকল প্রণোদনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাখছেন নজরদারি। এটা বিরল দৃষ্টান্ত। কোথাও কোনো সমস্যা দেখলে নেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোন ও ই-মেইলের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
করোনায় কর্মহীন অনেক দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে উপজেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হন এই জনবান্ধব ইউএনও।
ইউএনও গাজী শরিফুল হাসান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মতলব বাসি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সকল কার্যক্রম বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে যে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ।
আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র… কতটুকু করতে পারলাম সেটির মূল্যায়ন মতলব বাসি একদিন করবে নিশ্চয়…